গ্রাম নেই আর আজ
নদী
নদীর তীরে দাঁড়িয়ে পেতাম
জলের মিষ্টি ঘ্রাণ,
ঢেউয়ের মৃদুমন্দ শব্দ
স্রোতের কলতান।
এখন নদী শুকনো মাটি
উড়ছে ধুলোবালি,
বুক ভরা তার শূন্যতা আর
এক ফোঁটা নেই পানি।
গ্রাম
গ্রামের কাঁচামাটির রাস্তা
দুপাশে সবুজ ধান,
ঘাসে ও ফসলে কখনও বা জলে
উচ্ছ্বাস ভরা প্রাণ।
এখন দু’পাশে শুধু ঘরবাড়ি
ইটের দালান ঘর,
হারিয়ে গিয়েছে সবুজের দোলা
গ্রাম বলা দুস্কর।
পুকুর
এই বাড়িতেই ছিলো সে পুকুর
টইটম্বুর জল
পুকুরেই হতো সাঁতারের খেলা
নামতো ছেলের দল।
পুকুরটা আজ দেখছি না আর
সেখানে মাটিতে ভরা,
যেনো সে হারানো পল্লী গানের
সঞ্চারি অন্তরা।
মাঠ
মাঠ ছিলো, ছিলো তার কাছে এক পুকুর
ঘাট ছিলো তার পাকা,
ঘুরতো এ মাঠে দাড়িয়াবান্ধা
হাডুডু খেলার চাকা।
সেই মাঠ নেই, মার্কেট এখন
দালান দোকান ঘর,
মাঠ নেই যেনো এই গ্রামটির
ভেঙে গেছে অন্তর।
কাচারি
বাড়ির সামনে ছোট্ট একটা ঘর
সেই ঘর ছিল সকলের এজমালি
ঘরটার নাম কাচারি বোঠেক খানা
ঘরের ভেতরে শোনা যেতো হাততালি।
এই ঘর ছিলো এলাকার মক্তব
এখানেই হতো আসর-অনুষ্ঠান,
কাচারি এমন এক ধরণের ঘর
বাড়ির কেন্দ্রবিন্দু সবার প্রাণ।
আজ গ্রামে আর নেই সেরকম ঘর
নেই হৃদ্যতা তেমন পূর্বাপর।